বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন

গঙ্গাচড়ায় ভাগ্নি অন্ত:সত্ত্বাকারী মামা লেবু মিয়া আটক

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি::

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ভাগ্নিকে ধর্ষণ করে অন্তসত্ত্বা ও কৌশলে তার গর্ভপাত করানোর অভিযোগে মামা লেবু মিয়াকে সু-কৌশলে আটক করেছে থানা পুলিশ।

গত মঙ্গলবার রাতে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমানের নেতৃত্বে থানা পুলিশ তাকে তার বাড়ির এলাকা হতে আটক করে।

জানা যায়, উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের চৌদ্দমাথা পাইকারটারী গ্রামের ফজলুল হকের পুত্র কাঠ ব্যবসায়ী লেবু মিয়া (৪০)। সে নারী লোভী ও টাউট প্রকৃতির লোক। ওই এলাকায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে প্রতারনা করার অভিযোগ। বিভিন্ন প্রভাবশালীর ছত্র ছায়ায় সে নানা রকম অপকর্ম করেও থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে। লেবু প্রায় দের বছর আগে তার পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক মহিলার সাথে ধর্ম বোনের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ওই সম্পর্কের কারনে সে ওই মহিলার বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত করত। যাতায়াতের এক পর্যায়ে ওই মহিলার অনুপস্থিতিতে তার ১৪ বছরের কিশোরী কন্যাকে বিয়েসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে লেবু মিয়া প্রায়ই তার সাথে শারীরিক মেলামেশা করে। এতে ওই কিশোরী ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়। প্রায় ১ মাস আগে মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে তার মা জিজ্ঞাসা করলে সে লেবু মিয়ার সাথে শারীরিক সম্পর্কের কথা জানায়। পরবর্তীতে লেবু মিয়া পুনরায় ওই বাড়িতে আসলে অন্ত:সত্ত্বা কিশোরীর মা তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে শারীরিক মেলামেশার কথা স্বীকার করে তাকে বিয়ে করা সম্ভব না বলে কিছু টাকা নিয়ে সন্তান নষ্ট করার প্রস্তাব দেয়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী কিশোরীর মা গত ০৮ মে রংপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। যার নং- ৫৩/১৯। মামলাটি তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় গত ১৭ মে মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড ইউ.পি সদস্য শরিফুল ইসলাম ও ওই ওয়ার্ডের মৃত মতলেব মিয়ার স্ত্রী হামিদা বেগম (৩০) লেবুর সাথে যোগসাযোশ করে অন্তসত্ত্বা কিশোরীকে তার বাড়ির বাইরে নিয়ে গিয়ে ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার কথা বলে গর্ভপাত করানোর ট্যাবলেট খাওয়ায়। পরে তার রক্ত ক্ষরন শুরু হলে ওই কিশোরীর মা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। সেখানে তার মৃত সন্তান প্রসব হয়। পরে তার মা গত মঙ্গলবার ঘটনার সাথে জড়িত লেবু, ইউ.পি সদস্য শরিফুল ও হামিদাকে আসামী করে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় লেবু মিয়াকে আটক করে থানা পুলিশ। লেবু পুলিশের হাতে আটক হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। তারা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান বলেন, লেবু মিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে প্রতারনা করার অভিযোগ রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে তাকে আটক করি। মামলার অপর আসামী ইউ.পি সদস্য শরিফুল ও হামিদাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com